ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা আনতে গিয়ে আঙুল হারানো রিনা বেগমের (৩৬) পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (০৭ মে) দুপুর সোয়া ২টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিনাকে দেখতে যান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মাঈন উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে. এম. ইয়াসির আরাফাত। এসময় তারা আহত রিনার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও রিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ও হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, বিজয়নগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাহীনুর জাহান,  বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী লিটন,  সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল হক বাবু, হরষপুর ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে.এম.ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সরেজমিনে  তদন্ত করা হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মাঈন উদ্দিন উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে জেলা প্রশাসক ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আহত রিনা বেগমের বক্তব্য শুনেছি। ঘটনাস্থলেও যাবো তদন্তের জন্য। এ ঘটনার পেছনে কারো অবহেলার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় ও দুস্থদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তার ৪৫০ টাকা আনতে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে লাইনে দাড়ান ঐ ইউনিয়নের বাসিন্দা রিনা বেগম। এসময় পেছন থেকে ধাক্কাধাক্কির কারনে ইউনিয়ন পরিষদের দরজায় ফাঁকে চাপা পড়ে তার হাতের আঙ্গুল কেটে গিয়ে আলাদা হয়ে পড়ে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।